আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ---আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ --- আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ -
Showing posts with label online free news. Show all posts
Showing posts with label online free news. Show all posts

স্বার্থন্বেষীর বাধার মুখে বকশীগঞ্জ পৌরসভা



দুষ্ট চক্রের বাঁধার মুখে পড়েছে সরকারি গেজেটে ঘোষিত বকশীগঞ্জ পৌরসভা। জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। খাই খাই মহলটি এলাকার উন্নয়নের চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে বকশীগঞ্জ পৌরসভা গঠনে জোর বিরোধীতা করে আসছে। তারা বিভিন্ন দপ্তরে পৌরসভা বাতিলের দাবি জানিয়েন।
জানাগেছে উপজেলার সদর বকশীগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রগঞ্জ ও চরকাউরিয়া মৌজা পুরো অংশ, মালিরচর আংশিক ও বাট্টাজোড় ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও মৌজার ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে বকশীগঞ্জকে পৌরসভা উন্নতি করার জন্য সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। বকশীগঞ্জের সদর মাঝপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধার সাবেক ডিপুটি কমান্ডার আব্দুল বাসেত বলেন ভৌগোলিক কারনে জামালপুর জেলার অন্য উপজেলার চেয়ে বকশীগঞ্জ আত্ম-সামাজিক ও বাণিজ্যক দিক থেকে অনেক উন্নতি। বকশীগঞ্জ উপজেলাকে অনেক আগেই পৌরসভার মার্যদায় উন্নিত করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।  এলাকাবাসীর এমন দাবির স্বার্থে এলাকার সাংসদ ও তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের প্রচেষ্টায় বকশীগঞ্জকে পৌরসভায় উন্নতি করেছেন। অপরদিকে খাই খাই মহলটি তাদের এলাকার উন্নয়ন বাদ দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলে পৌরসভা বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর এক বাসিন্দা নূরুল ইসলাম ফোরকান বলেন পৌরসভা এখন বকশীগঞ্জ এলাকা মানুষের প্রানের দাবী। যারা এর বিরোধীতা করছে তারা জনবিচ্ছন্ন ও গণধিকৃত হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুজ্জামান মতিন বলেন আমি ও আমার পরিষদ এক বছর আগে নিবার্চিত হয়েছি। পৌরসভা হলে কিছু মেন্বারের ক্ষমতা হারিয়ে যাবে এবং আমারও ক্ষমতা হ্রাস পাবে। বাধ্য হয়ে পৌরসভা বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

Read more »

লালন তোমার আরশীনগর








লালনের কাছে চলো শাহিন ভাই মোবাইলে কল দিয়ে জানালেন। আমি বললাম কবে যাবেন? শাহিন ভাই বলল, গেলে এখনই যেতে হবে। বুঝতে পারলাম কয়েকদিন ধরে লালন স্মরণ মেলা হচ্ছে কুষ্টিয়ার ছেউরিয়ায়। শাহিন ভাই তার খবর দেখেছেন বোধহয়। আমাদের শাহিন ভাই খুব ব্যস্ত মানুষ। তার স্কুল আছে, কম্পিউটার সেন্টার আছে। কিন্তু ভ্রমণের কথা মনে উঠলে সব ফেলে ছুটে যায় রাঙ্গামাটি, জাফলং, কক্সবাজার। এমনি ভ্রমণাকুল জায়গায়। ভ্রমণ তার নেশা হয়ে গেছে। একবার আমি বললাম, শাহিন ভাই আগ্রার তাজমহল দেখে আসি। শাহিন ভাই বললেন, আগে দেশ দেখ। দেশের কোন সুন্দর জায়গার বর্ণনা পেলেই সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা এঁটে বসে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় লালনের আখড়ায় ভ্রমণ। যথারীতি শাহিন ভাই ভোরে আমার বাড়িতে এসে উপস্থিত। সঙ্গে আরেক প্রিয় মুখ আতিক আজিজ। আমাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে চলল কুষ্টিয়ার উদ্দেশে। শনিবার দিন ১০ মার্চ। ভাগ্য ভালো আমাদের রাস্তায় জ্যাম পড়েনি। নইলে মিজমিজি থেকে যাত্রাবাড়ী যেতে এক ঘণ্টা লেগে যেত। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাবতলী পৌঁছে গেলাম। দিনটা আমাদের অনুকূলে মনে হচ্ছে। বাসে সিট পেলাম মাঝামাঝি। বাস কাউন্টারগুলোতে কোন ভিড় নেই। রাজনৈতিক কোন বেপার-সেপার থাকতে পারে। টিকিট কেনার সময় কাউন্টার ম্যানেজার জানতে চাইল, কুষ্টিয়ার কোথায় যাবেন। বললাম, লালনের আখড়ায়। থাকব কি না জিজ্ঞেস করল? বললাম, না থাকবা না। আজই ফিরে আসব। ম্যানেজার পরামর্শ দিল আগামীকাল বাস বন্ধ থাকবে। তাই ওখানে নেমেই ফিরতি গাড়ির টিকিট কিনে নেবেন। কাউন্টারে বাস এলো সাড়ে ১০টায়। চড়ে বসলাম গাড়িতে, লালনের দেশের পানে। যেতে যেতে পথে আমার মুগ্ধ হওয়ার পালা। আগে একবার যমুনা ব্রিজ দিয়ে সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলাম। আহামরি কিছু লাগেনি। সেবার খুব জ্যাম পড়েছিল। ৭ ঘণ্টা নিয়ে ছিল সিরাজগঞ্জ যেতে। এখন চলে এলাম ৩ ঘণ্টায়। মুগ্ধতা জেঁকে বসে আমার চোখে। এদিকের রাস্তাগুলো পরিষ্কার। একদম মসৃণ। আসল খেলাটা হল রাস্তার দু’পাশের দৃশ্য। তাকালে দেখতে পাই বিস্তৃণ আম ও লিচুর বাগান। পরিকল্পিত বাগানগুলো দেখতে ঠিক ছবির মতো। আম অথবা লিচুর গাছগুলো ছাতার মতো বসানো। তাতে মুকুল এসেছে মন ভরিয়ে। এ দৃশ্যগুলো যতই দেখি ততই মন পুলকিত হয়ে যায়। ইচ্ছা হচ্ছিল গাছগুলোর সঙ্গে ছবি তুলি। গাছগুলোকে ছুঁয়ে দেখি। বাগানের ছায়ায় গিয়ে কিছু ফ্রেস নিশ্বাস নেই। তা আর হল না। বাসওয়ালাকে বলতে বললও টাইম নাই। আমাদের আবেগ তাদের কাছে দু’আনার মূল্য পেল না। এ মনোরোম দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন পৌঁছে গেছি কুষ্টিয়া বাসস্ট্যান্ডে। নেমেই ঢাকা ফেরার টিকিট কিনে নিলাম। টিকিট না কিনলে সাংঘাতিক ঝামেলা হতো বুঝতে পারলাম। চললাম লালনের আখড়ায়। এখানকার বাহন হল রিকশা বা ব্যাটারিচালিত বেবি। বেবিওয়ালারা সুর করে ডাকতে থাকে এই লালন, লালন।
আমি জিজ্ঞেস করলাম ভাড়া কত? বলল ১০ টাকা। দরাদরি করার সময় ছিল না। উঠে বসলাম বেবিতে। যাচ্ছে বেবি কবি আজিজুর রহমান সড়ক, বড় বাজার হয়ে তারপর লালন। চলে এলাম লালনের স্মরণ মেলা এলাকায়। ভেবেছিলাম। বিরাট আয়োজন। এসে দেখি সাদামাটা। ঘুরতে ঘুরতে গেলাম সাইজির মাজারে। ছোট একটা ঘরে সাইজি শায়িত। এখানে সাইজিকে ঘিরে বেশকিছু কবর আছে।
সাইজির ভক্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে দেখা যায়। একজন ভারতীয়ের কবরও আছে এখানে। এ কবরগুলোর প্রতি বাউলদের ভক্তিশ্রদ্ধা আমাকে বিস্মিত করেছে। ভক্তিও প্রচণ্ড। এরা লালন সাইজীর কবর জেয়ারত করে পেছন হেঁটে ফেরেন। এখানকার খাদেম মোহাম্মদ আলী শাহ’র লালন স্টাইল চুল দাড়ি-গোঁফ। তার প্রতি ভক্তিও তাক লাগানোর মতো। মাজারের পর্ব শেষে গেলাম অডিটরিয়াম ভবনের দিকে। এটাই বাউলদের আসল জায়গা। বাউল-বাউলানীরা গোল হয়ে বসে, কেউ দাঁড়িয়ে গলা ছেড়ে হরদম গান গাইছে। দু’চার জন ফকিরি ঢংয়ে নেচেও যাচ্ছে। অন্য কোন গান নেই। শুধু লালনের গান। একাডেমির পাশের ভবন হল লালন মিউজিয়াম। দোতলায় লাইব্রেরি। মিউজিয়ামে তেমন কিছুই নেই। ভক্তদের ঘটিবাটি। সাইজীর ঘরের একটা দরজা ও তার বসার জলচকি সংরক্ষিত আছে। সাইজীর অনেক সাগরেদের আঁকা ছবি, কবি গুরুর ছবি, হাছন রাজার ছবিও মিউজিয়ামে আছে। মিউজিয়ামের প্রবেশ মূল্য ২ টাকা। এ টাকাটা কিসের জন্য বুঝা গেল না। মিউজিয়াম বলতে যা বুঝায় তার সিকি ভাগও নেই। ভেতরে ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এখানে এসে জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিকের খুব প্রশংসা শুনলাম। আগে নাকি কিছু ছিল না। তিনি উদ্যোগ নিয়ে ভবনগুলো করেছেন। ধন্যবাদ তাকে। তবে তাকে এগুলোর প্রতি আরেকটু যত্নবান হতে বলব। তবেই যথাযর্থ সাইজীর ভক্ত হিসেবে তিনি পরিগণিত হবে। লালনের মাজারে ভ্রমণ করে একটা ব্যাপার নিশ্চিত হলাম এখানে মানুষ শিল্পী হয়ে যায়। এমন কাউকে পেলাম না। একবার হলেও গুনগুনিয়ে লালনের গান গাইছে না। যে দিকেই কান পাতি সেদিকেই শুনতে পাই সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়  মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষ সনে বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথায় এক পড়শি বসত করে  কে কথা কয়রে দেখা দেয় না, হাতের কাছে নড়ে চড়ে খুঁজলে জনম ভর মেলে না জাত গেল জাত গেল বলে, চাঁদের গায়ে দাগ লেগেছে আমার ভেবে করব কি?  এমনি অসংখ্য ভাববাদী গান বিরতিহীনভাবে কানে এসে প্রবেশ করে। আমি লক্ষ্য করলাম লালনের মাঝে একটা জাদু-মন্ত্রের ব্যাপার আছে। তার গানে যেমন আমরা ভস্মীভূত হইয়া আছি তেমনই সে তার আখড়ার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে দর্শনীয় কিছু নেই। তারপর হাজার হাজার লোক ছুটে আসে। কিসের কারণে। আমার ধারণা এ লেখা পড়ার পর আপনিও লালনের আখড়ায় যাওয়ার তাগিদ অনুভব করবেন। কারণ কী? কারণ আর কিছু না। লালনের জাদু-মন্ত্র।


Read more »

শহীদ কাপুরের স্বপ্নের রানী নার্গিস ফাকরি






এবার গুজব নয়, পুরোটাই সত্যি! বলিউড অভিনেতা শহীদ কাপুর তার স্বপ্নের রানীকে খুঁজে পেয়েছেন। তার এ স্বপ্নের রানী আর কেউ নন, বলিউড ফিল্মডোমে সম্প্রতি পা রাখা নায়িকা রকস্টার নার্গিস ফাকরি।
 বলিউড পিগি চপস প্রিয়াংকা চোপড়ার সঙ্গে প্রেম ভেঙ্গে যাবার পর একাধিক নায়িকার সঙ্গে রোমান্সে জড়িয়ে পড়েন শহীদ কাপুর। বলিউড বাঙালী সুন্দরী বিপাশা বসু, আনুশকা সারমা এমনকি শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েও সুবিধা করতে পারেন নি শহীদ কাপুর। তবে তাতে মোটেও হতাশ নন তিনি। নতুন করে আবারো প্রেম খুঁজে নিয়েছেন নবীন অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরির মাঝে। 
ভারতীয় পত্রিকা মুম্বাই মিরোরের একটি রিপোর্টে জানা যায়, রকস্টার গার্ল নার্গিস ফাকরির প্রেমে ডুব দিয়েছেন শহীদ কাপুর। কিছুদিন আগে শহীদ কাপুরের জন্মদিনে তারা একসঙ্গে গোয়াতে যান। সেখানে অনেকটা সময় একই সাথে কাটিয়েছেন তারা। যদিও তখন তারা শুধু বন্ধু ছিলেন বলে দাবী করেন। কিন্তু প্রতক্ষদর্শীরা গোয়ার বিচের সামনে তাদেরকে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেছে। সুতরাং, সবকিছু স্বীকার না করে আর উপায় কি ! এবার তাদের মেনে নিতে হলো সম্পর্কের কথা। শহীদ কাপুর জানিয়েছেন, একসঙ্গে বেশি সময় পাশাপাশি থাকার কারণেই তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের সীমা পেরিয়ে ভালোবাসায় পৌছে যায়। নার্গিসের প্রতি তার  ভালোবাসা অনেক বেশি সিরিয়াস বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভক্তরা নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন, রনবীর কাপুরের রকস্টার গার্ল নার্গিস ফাকরি কেন শহীদের সঙ্গে! রনবীর কাপুর তার পুরোনো গার্লফ্রেন্ড দীপিকা পাডুকোনের কাছে ফিরে যাওয়ায় হয়তবা নার্গিসও নিজের নিশ্চয়তা খুঁজে নিলেন। বলিউডে অবশ্য এটি নতুন কোন বিষয় নয়।

Read more »

বিটিআরসির বিরদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ একুশে টিভির




তরঙ্গ স্থগিত থাকলে গত পাঁচ বছর ধরে একুশে টেলিভিশন পুন:সম্প্রচার চালাচ্ছে কিভাবে? সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন (বিটিআরসি)।৭ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলে। এই নোটিশের পরিপ্রক্ষিতে ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে একুশে টিভিকার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্য করে এমন অনেক প্রশ্নের তীর ছোড়েন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। একুশে টিভির কাছে বিটিআরসির পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, তরঙ্গ গত ১১ মার্চ বিটিআরসির নোটিশে তরঙ্গ স্থগিতের পরও একুশে টেলিভিশন কিভাবে সম্প্রচার চালাচ্ছে এবং রেডিও এপাটাচারস লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করার কারণ ব্যাখা করতে বলা হয়েছে। সংবাদ সন্মেলনে এ বিষয়ে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা গত পাঁচ বছর শুধু পুন: সম্প্রচারই চালাচ্ছি না, বিটিআরসির ডিমান্ড নোট অনুযায়ী সব ফি পরিশোধ করে আসছি। যা চলতি বছর পর্যন্ত হালনাগাদ রয়েছে।’ রেডিও অ্যাপাটাচারস লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন এবং অসত্য। আমরা আবেদন করেছি কিন্তু বিটিআরসি অজ্ঞাত কারনে নীরব রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল বিটিআরসি একটি চিঠির মাধ্যমে একুশে টেলিভিশনকে ৩০ কোটি ৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে একুশে কর্তৃপক্ষ আদালতের গেলে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত ঘোষনা করে। রিট পিটিশনটি এখনো আদালতে নিষ্পত্তি অপেক্ষোয় আছে। ‘আদালত স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বিটিআরসির এই কারণ দর্শানো নোটিশ আদালত আদালত অবমাননার সামিল’ বলে মন্তব্য করেন একুশে টেলিভিশন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। তিনি আরো বলেন, ‘বিটিআরসি এ্যাপাটারস লাইসেন্স ফি নিয়মিত নিলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে লাইসেন্সের কোনো কপি এখন পর্যন্ত একুশে কর্তৃপক্ষকে দেয়নি।’ বিটিআরসির প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনার অভিযোগটিও তিনি হাস্যকর বলে জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে একুশে টেলিভিশন ৫ বছরের ফি বাবদ ১কোটি ২৫ লাখ টাকা একসঙ্গে আগাম পরিশোধ করে। এরপর ২০০২ সালের ২৯ আগষ্ট একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। একুশে টেলিভিশন যাতে আর কখনোই সম্প্রচারে আসতে না পাারে সেজন্য সে সময়ের বিএনপি সরকার নতুন করে বন্ধ টেলিভিশনের ওপর ৩০ কোটি ৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফি ধার্য করে। বর্তমান সরকারের সময় বিটিআরসি সেই পুরনো হিসাব ধরেই হয়রানী মুলক চিঠি দিচ্ছে। আব্দুস সালাম আরো বলেন, ‘হয়রানী এখানেই শেষ নয়। বিটিআরসির সঙ্গে এনবিআরও যুক্ত হয়েছে। একুশে টেলিভিশনের ২০০১-২ এবং ২০০২-৩ এর আয়কর পরিশোধ করা থাকলেও চলতি বছরে এনবিআর রি এ্যাসেসমেন্ট করে একুশে টেলিভিশনকে ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলেছে। এর বিরুদ্ধেও একুশে টেলিভিশন আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি একুশে টেলিভিশনকে গত ২ বছর ধরে দেশের বাইরে স্যাটেলাইট ভাড়া দেয়ার জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছেনা তথ্য মন্ত্রণায়লয়। অন্য সব টেলিভিশনকে অনুমতি দিচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, একুশে টেলিভিশনের বিরুদ্ধে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট একজন মন্ত্রী এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তি জড়িত। তারা বিটিআরসি ও একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের স্টাইল বিএনপির শাসন-আমলের মতই। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গত ১২ মার্চ ক্যাবল অপারেটদের চাপ দিয়ে একুশে ঠেলিভিশনের সম্প্রচার ৩ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয়। এতে দর্শকরা ওই সময় একুশে টেলিভিশন দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং একুশে টেলিভিশন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

Read more »

ফেসবুকের বিরুদ্ধে ইয়াহুর মামলা!





সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু। লাইসেন্স ছাড়াই ইয়াহুর পেটেন্ট করা ১০টি প্রযুক্তি ফেসবুকে ব্যবহার করছে অভিযোগ এনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে ইয়াহু। মামলার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা অভিযোগপত্রে ইয়াহু আরও দাবি করেছে, তাদের তৈরি করা কিছু প্রযুক্তি, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেসেজিং, নিউজ ফিড জেনারেশন, সোশ্যাল কমেন্টিং অ্যাডভার্টাইজিং ডিসপ্লে, প্রাইভেসি কন্ট্রোল ইত্যাদি অবৈধভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে আসছে। মামলার অভিযোগপত্রে ইয়াহু লিখেছে, ২০০৪ সালের আগে ফেসবুক চালুই হয়নি। কিন্তু ইয়াহু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর দশ বছর আগেই। অথচ ফেসবুক অন্যতম ব্যস্ত একটি সাইটে পরিণত হয়েছে। তবে তা সম্ভব হয়েছে ইয়াহুর কিছু পেটেন্ট করা প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণেই। এমনকি ব্যবহারকারীদের নিজেদের অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্রোফাইল তৈরি করা এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পুরো মডেলটিই ইয়াহুর নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি বলে ইয়াহু দাবি করছে। আর এগুলো এতদিন ফেসবুক অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পেটেন্ট নিয়ে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, মটোরোলা মোবিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়লেও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ইয়াহু-ফেসবুকের মামলাটিই প্রথম। ফেসবুক সম্প্রতি পাবলিক কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারে আসার ঘোষণা দিয়েছে। এতে প্র্রতিষ্ঠানটির মূল্য ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। পাবলিক কোম্পানি হিসেবে আইপিও ঘোষণা দেয়ার পরই ইয়াহুর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এ মামলা ফেসবুকের আইপিওর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মামলার বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি। 

Read more »

ধেয়ে আসছে সৌরঝড়






পৃথিবীর দিকে শক্তিশালী সৌরঝড় ধেয়ে আসছে এতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইটের পরিভ্রমণ বিমান চলাচল বিঘিœ হতে পারে বিপুল পরিমাণ আয়নিত তরঙ্গবাহী সৌরঝড়টি বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নোয়া) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তারা বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া শক্তিশালী ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে পাঁচ বছরের মধ্যে এবারের সৌরঝড় অনেক বেশি শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে খবর বিবিসি এপি অনলাইনের
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদরা আশংকা করছেন, সৌরঝড়ের কবলে পড়ে বিকল হয়ে পড়তে পারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট এমনকি বিমান চলাচল ব্যবস্থাও কারণে চার্জিত কণার নির্গমন সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে তবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তর মেরুতে মেরুপ্রভা দেখা যাবে বলেও জানান গবেষকরা তারা জানান, সূর্যে এখন আবহাওয়া চক্রের সক্রিয় দশা চলছে বর্তমান দশাকে বলা হচ্ছেসোলার সাইকেল ২৪ ২০১৩ সালে চূড়ান্ত সক্রিয় হবে চক্রটি
নোয়ার বিশেষজ্ঞ জোসেফ কুনচেস বলেন, তিনটি স্তরের ঝড়টি মঙ্গলবার থেকেই পৃথিবীতে আসতে শুরু করেছে প্রথম দফায় মঙ্গলবার শক্তিশালী সৌর তরঙ্গ পৃথিবীতে পৌঁছেছে দ্বিতীয় দফায় বুধবার সৌর বিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত হানে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জ্যোতির্বলয় নিঃসরিত ¬াসমা মেঘ আঘাত হানবে পৃথিবীতে এবং পর্যায়েই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইটের পরিভ্রমণ এবং বিমান চলাচল খনিজ তেল উত্তোলনের কাজে ব্যবহƒ জিপিএস ব্যবস্থাগুলো বিঘিœ হতে পারে সৌরঝড়ের প্রভাব মেরু অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাবে তাই বিমান চলাচলে অঞ্চলের রুটগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে এছাড়া উত্তর মেরুতে ঝড়ের প্রভাবে বর্ণিল অত্যন্ত উজ্জ্বল মেরুপ্রভা দেখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে এর আগে ১৯৭২ সালে একটি সৌরঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যে দূরপালার টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল



Read more »