পৃথিবীর দিকে শক্তিশালী সৌরঝড় ধেয়ে আসছে। এতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইটের পরিভ্রমণ ও বিমান চলাচল বিঘিœত হতে পারে। বিপুল পরিমাণ আয়নিত তরঙ্গবাহী এ সৌরঝড়টি বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নোয়া) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া শক্তিশালী এ ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। পাঁচ বছরের মধ্যে এবারের সৌরঝড় অনেক বেশি শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি ও এপি অনলাইনের।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদরা আশংকা করছেন, এ সৌরঝড়ের কবলে পড়ে বিকল হয়ে পড়তে পারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট এমনকি বিমান চলাচল ব্যবস্থাও। এ কারণে চার্জিত কণার নির্গমন সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তর মেরুতে মেরুপ্রভা দেখা যাবে বলেও জানান গবেষকরা। তারা জানান, সূর্যে এখন আবহাওয়া চক্রের সক্রিয় দশা চলছে। বর্তমান দশাকে বলা হচ্ছে ‘সোলার সাইকেল ২৪’। ২০১৩ সালে চূড়ান্ত সক্রিয় হবে এ চক্রটি।
নোয়ার বিশেষজ্ঞ জোসেফ কুনচেস বলেন, তিনটি স্তরের এ ঝড়টি মঙ্গলবার থেকেই পৃথিবীতে আসতে শুরু করেছে। প্রথম দফায় মঙ্গলবার শক্তিশালী সৌর তরঙ্গ পৃথিবীতে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় দফায় বুধবার সৌর বিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত হানে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জ্যোতির্বলয় নিঃসরিত প¬াসমা মেঘ আঘাত হানবে পৃথিবীতে এবং এ পর্যায়েই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইটের পরিভ্রমণ এবং বিমান চলাচল ও খনিজ তেল উত্তোলনের কাজে ব্যবহƒত জিপিএস ব্যবস্থাগুলো বিঘিœত হতে পারে। সৌরঝড়ের প্রভাব মেরু অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাবে। তাই বিমান চলাচলে এ অঞ্চলের রুটগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর মেরুতে এ ঝড়ের প্রভাবে বর্ণিল ও অত্যন্ত উজ্জ্বল মেরুপ্রভা দেখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে ১৯৭২ সালে একটি সৌরঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যে দূরপালার টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
0 comments:
Post a Comment