আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ---আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ --- আমরা আসছি অপেক্ষা করুণ -

বিটিআরসির বিরদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ একুশে টিভির




তরঙ্গ স্থগিত থাকলে গত পাঁচ বছর ধরে একুশে টেলিভিশন পুন:সম্প্রচার চালাচ্ছে কিভাবে? সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন (বিটিআরসি)।৭ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলে। এই নোটিশের পরিপ্রক্ষিতে ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে একুশে টিভিকার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্য করে এমন অনেক প্রশ্নের তীর ছোড়েন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। একুশে টিভির কাছে বিটিআরসির পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, তরঙ্গ গত ১১ মার্চ বিটিআরসির নোটিশে তরঙ্গ স্থগিতের পরও একুশে টেলিভিশন কিভাবে সম্প্রচার চালাচ্ছে এবং রেডিও এপাটাচারস লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করার কারণ ব্যাখা করতে বলা হয়েছে। সংবাদ সন্মেলনে এ বিষয়ে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা গত পাঁচ বছর শুধু পুন: সম্প্রচারই চালাচ্ছি না, বিটিআরসির ডিমান্ড নোট অনুযায়ী সব ফি পরিশোধ করে আসছি। যা চলতি বছর পর্যন্ত হালনাগাদ রয়েছে।’ রেডিও অ্যাপাটাচারস লাইসেন্স না থাকা ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন এবং অসত্য। আমরা আবেদন করেছি কিন্তু বিটিআরসি অজ্ঞাত কারনে নীরব রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল বিটিআরসি একটি চিঠির মাধ্যমে একুশে টেলিভিশনকে ৩০ কোটি ৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে একুশে কর্তৃপক্ষ আদালতের গেলে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত ঘোষনা করে। রিট পিটিশনটি এখনো আদালতে নিষ্পত্তি অপেক্ষোয় আছে। ‘আদালত স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বিটিআরসির এই কারণ দর্শানো নোটিশ আদালত আদালত অবমাননার সামিল’ বলে মন্তব্য করেন একুশে টেলিভিশন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। তিনি আরো বলেন, ‘বিটিআরসি এ্যাপাটারস লাইসেন্স ফি নিয়মিত নিলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে লাইসেন্সের কোনো কপি এখন পর্যন্ত একুশে কর্তৃপক্ষকে দেয়নি।’ বিটিআরসির প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনার অভিযোগটিও তিনি হাস্যকর বলে জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে একুশে টেলিভিশন ৫ বছরের ফি বাবদ ১কোটি ২৫ লাখ টাকা একসঙ্গে আগাম পরিশোধ করে। এরপর ২০০২ সালের ২৯ আগষ্ট একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। একুশে টেলিভিশন যাতে আর কখনোই সম্প্রচারে আসতে না পাারে সেজন্য সে সময়ের বিএনপি সরকার নতুন করে বন্ধ টেলিভিশনের ওপর ৩০ কোটি ৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ফি ধার্য করে। বর্তমান সরকারের সময় বিটিআরসি সেই পুরনো হিসাব ধরেই হয়রানী মুলক চিঠি দিচ্ছে। আব্দুস সালাম আরো বলেন, ‘হয়রানী এখানেই শেষ নয়। বিটিআরসির সঙ্গে এনবিআরও যুক্ত হয়েছে। একুশে টেলিভিশনের ২০০১-২ এবং ২০০২-৩ এর আয়কর পরিশোধ করা থাকলেও চলতি বছরে এনবিআর রি এ্যাসেসমেন্ট করে একুশে টেলিভিশনকে ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলেছে। এর বিরুদ্ধেও একুশে টেলিভিশন আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি একুশে টেলিভিশনকে গত ২ বছর ধরে দেশের বাইরে স্যাটেলাইট ভাড়া দেয়ার জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছেনা তথ্য মন্ত্রণায়লয়। অন্য সব টেলিভিশনকে অনুমতি দিচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, একুশে টেলিভিশনের বিরুদ্ধে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট একজন মন্ত্রী এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তি জড়িত। তারা বিটিআরসি ও একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের স্টাইল বিএনপির শাসন-আমলের মতই। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গত ১২ মার্চ ক্যাবল অপারেটদের চাপ দিয়ে একুশে ঠেলিভিশনের সম্প্রচার ৩ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয়। এতে দর্শকরা ওই সময় একুশে টেলিভিশন দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং একুশে টেলিভিশন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

0 comments:

Post a Comment