বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারনে জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ ইসলামপুরে আংশিক কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক চরম দুভোর্গে আছেন। বিশেষ করে দিনে রাতে সমানতালে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে কৃষি সেচ ব্যবস্থায় মারাতœক বিপর্যয় ঘটেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চলতি মওসুমে বকশীগঞ্জে প্রায় ১২ হাজার ৮ শ’ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বকশীগঞ্জে ৮শ’ বিদ্যুৎ সেচ পাম্প এর আওতায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে বকশীগঞ্জে ৩৩/১১ হাজার বিদ্যুৎ সাব উপকেন্দ্র থেকে ৫ উপজেলায় বর্তমানে পিক আওয়ারে মোট বিদ্যুৎ চাহিদা হচ্ছে ১০ মেগাওয়াট। আর অফপিক আওয়ারে সাড়ে ৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বর্তমানে পিক আওয়ারে এক থেকে দেড় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। যার ফলে বকশীগঞ্জসহ উল্লেখিত উপজেলায় দিনে রাতে সমান তালে বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ও রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং কবলে পড়েছে এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পল্লী বিদ্যুত গ্রাহক।
এই ব্যাপারে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ হাদিউজ্জামান জানান চাহিদার বিপরীতে কম সরবরাহের কারনে বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে এলাকার ইরি বোরো ফসলের কথা ভেবে পল্লী বিদ্যুত সমিতির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আরও ৪ মেগাওয়াট বেশী বিদ্যুত সরবরাহের দাবি জানানো হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment