চরম উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা নিয়ে বকশীগঞ্জে মহান একুশে ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
বকশীগঞ্জে আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় পৃথক পৃথক ভাবে বকশীগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। গত ১৭ ফেব্র“য়ারী তথ্যমন্ত্রীর উপস্থিতেই পাখিমারা বাসভবনে কর্মীসভায় যুবলীগ নেতাদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে ২১ ফেব্র“য়ারী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন ও সাইফুল ইসলাম বিজয়ের সমর্থকেরা বিভক্ত হয়ে পৃথক পৃথক কর্মসুচী পালনের ঘোষনা দেয়। তাদের পৃথক কর্মসূচী ঘোষনা করায় উপজেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২ প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ন জায়গায় পুলিশ অবস্থান নেয়। ১২ঃ০১ মিনিটে প্রথমে উপজেলা প্রশাসন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদ আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সানোয়ার হোসেন, কৃষি অফিসার মুর্ত্তুজ আলী, যুব উন্নয়ন অফিসার সুলতান মাহামুদসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর পর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। এ সময় চরম উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে একই সময় আওয়ামীলীগের দুই গ্র“প শহীদ মিনারের পৃথক দুই বেধিতে পুস্পস্তবক অর্পন করলে চরম অনিশ্চয়তা ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটে। নির্বাহী অফিসার আবেদ আলীর বুদ্ধিমত্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সর্তক অবস্থানের কারণে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই দুই গ্র“পের পুস্পস্তবক অর্পণ কর্মসুচী শেষ হয়। এর পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পুস্পস্তবক অর্পন শেষে শহীদের আত্মার মাগফের কামনা করে দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদের আত্মার মাগফেরত কামনা করে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ শাহাজালাল খন্দকার, অন্যতম নেতা মোফাজ্জল হকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment